অমুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ পর্ব- ২

কোরানে বিভিন্ন আয়াতে কিভাবে অমুসলিমদেরকে মারতে হবে সেগুলো শেখাচ্ছে , যেগুলো দিয়ে জিহাদি মিশন তৈরি করে বছরের পর বছর নিরাপরাধ মানুষগুলোকে মেরে আসছে সন্ত্রাসবাদী জঙ্গি গোষ্ঠী। এই আয়াতগুলোকে ব্যাবহার করে ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে মানুষগুলোকে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা হয়ে উঠেছে জঙ্গি গোষ্ঠী। এরা পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে অমুসলিম দেশে চার্চে, মন্দিরে, বিমান বন্ধর, রেলওয়ে ইস্টিশন, এসকল জায়গায় বোমা হামলা করে আসছে, শিশু বৃদ্ধ, কার মা , কার প্রেমিক, কার স্বামী, স্ত্রী, সন্তান নিরাপরাধ মানুষগুলোকে মেরে ফেলেছে অমানবিক ভাবে। কোরানের আয়াত গুলো কি যা দিয়ে জিহাদি হামলা পরিচালনা করা হয়।  

আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যরে মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহ্র শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ্ তাদেরকে চেনেন। বস্তুত: যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহ্র রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।

কোরআন ৮-৬০

-অত:পর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

কোরআন ৯-৫

-তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ্ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।

কোরআন ৯-২৯

-হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক্ আর জেনে রাখ, আল্লাহ্ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন।

কোরআন ৯-১২৩

-বরং আমি তাদেরকে এবং তাদের বাপ-দাদাকে ভোগসম্বার দিয়েছিলাম, এমনকি তাদের আয়ুস্কালও দীর্ঘ হয়েছিল। তারা কি দেখে না যে, আমি তাদের দেশকে চতুর্দিক থেকে হ্রাস করে আনছি। এরপরও কি তারা বিজয়ী হবে?

কোরআন ২১-৪৪

-অতএব আপনি কাফেরদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের সাথে এর সাহায্যে কঠোর সংগ্রাম করুন।

কোরআন ২৫-৫২

-অত:পর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দার মার, অবশেষে যখন তাদেরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অত:পর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে। আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। যারা আল্লাহ্র পথে শহীদ হয়, আল্লাহ্ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না।

কোরআন ৪৭-৪

-তিনিই কিতাবধারীদের মধ্যে যারা কাফের, তাদেরকে প্রথমবার একত্রিত করে তাদের বাড়ী-ঘর থেকে বহিস্কার করেছেন। তোমরা ধারণাও করতে পারনি যে, তারা বের হবে এবং তারা মনে করেছিল যে, তাদের দূর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর কবল থেকে রক্ষা করবে। অতঃপর আল্লাহর শাস্তি তাদের উপর এমনদিক থেকে আসল, যার কল্পনাও তারা করেনি। আল্লাহ তাদের অন্তরে ত্রাস সঞ্চার করে দিলেন। তারা তাদের বাড়ী-ঘর নিজেদের হাতে এবং মুসলমানদের হাতে ধ্বংস করছিল। অতএব, হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিগণ, তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।

কোরআন ৫৯-২

আপনার জীবনের কোন নিশ্চয়তা নেই, আজকে যাচ্ছেন আপনি খুশি মণে কাজে, কিন্তু আপনি টেরও পাবেন না যে পাশে একজন জিহাদি বসে আছে ব্যাগ এ বোম নিয়ে। আপনি এদেরকে চিনতেও পারবেন না। এমন হতে পারে যার সাথে আপনি দিনের পড় দিন গল্প করেছেন, আড্ডা দিয়েছেন, সেই মানুষগুলো আপনার আর আমার মতো নিরাপরাধ মানুষগুলো মারতে নিজেদেরকে তৈরি করছে। তৈরি করছে নিজেদেরকে প্রতিদিন, কি করে বোমা বানাবে, কি করে আত্মঘাতী হামলা পরিচালনা করবে। যে ধর্ম জীবন গঠন করতে না শিখিয়ে জীবনকে নাশ করতে শেখায় সেই ধর্মকে আমি ধর্ম তো মানিই না এই ধর্ম বর্বরতা ছাড়া আর কিছুই না।

Siam

Read Previous

দণ্ডবিধি ৩৭৭ !

Read Next

মদিনা নগরীর বিলাসী ভবন আর উন্নয়ন হয়েছিল অতীতের অমুসলিমদের রক্তের দামে

6 Comments

  • তড়ে আমি আল্লাহর নামে কতল করার অনুমুতি পেয়েছি। ইনশাআল্লাহ তা আমি করবই.

  • ভাই একটু সাধান। মোল্লারা আপনাকে কিন্তু ছারবেনা।

  • ভাই আসলেই কি কোরানে এরকম কথা বলে? কি অবস্থা। নিজেকে মুসলিম বলতে লজ্জা হচ্ছে।

  • ভাই আপনি ত সাংঘাতিক সতত কথা বললেন। মোল্লারা আর ইসলামের নেতা ত এবার খেপবে আপনার উপর। জানেও মারতে পারে। আপনি এই সত্য কথা গুল এভাবে লেইখেন না।

  • তুই ইসলামকে নিয়ে খেলতেছিশ। আল্লাহর আদেশকে অপমান করতেছিশ। তড়ে জবাই করার সময় হয়ে গাছে খালি তুই দেশে আয়।

  • ভাই একটু সাবধানে। কোরানের এই বিষয়গুলো সামনে আইনেন না। এইগুলো সামনে আসলে মানুষ ইসলামকে জঙ্গিবাদের ধর্ম বলবে। এই বিষয় গুল সামনে না আসলেই ভাল

Leave a Reply

Your email address will not be published.